Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
চলন বিল জাদুঘর
কিভাবে যাওয়া যায়

নাটোর জেলা সদর থেকে ৫০ কিঃমিঃ পূর্বে গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে ৪ কিঃ মিঃ উত্তরে খুবজীপুর ইউনিয়নে চলনিবল যাদুঘর অবস্থিত। গুরুদাসপুুর উপজেলা থেকে যে কোনো যানবাহনে যাওয়া যায়।

বিস্তারিত

jadughor

চলন বিল জাদুঘর

বিস্তারিত: 

 

চলনবিল জাদুঘর

দেশের বৃহত্তম বিল-চলনবিলের মধ্যাস্থলে গুরম্নদাসপুর উপজেলার নাটোর জেলার খুবজীপুর গ্রামে এই জাদুঘরটির অবস্থান। জ্ঞানপিপাসু অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ ১৯৭৮সালের ১লা সেপ্টম্বর এটি প্রতিষ্ঠা করেন । জাদুঘরটি উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।

 

চলনবিল অঞ্চলের প্রাচীন কীর্তি সম্পকে গবেষনা করে লুপ্ত ইতিহাস উদ্ধার, প্রাচীন ঐতিহাসিক ও কৃষ্টিগত নিদর্শন, প্রত্নরাজা, শিলালিপি ,টেরা কোটা ও বিভিন্ন দর্শনীয় বস্ত্ত, মাছ, ঝিনুক, শামুক ইত্যাদি নমুনা সংরক্ষন সহ অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সেতু বন্ধন রচনার অভিপ্রায়ে এই জাদুঘর প্রতিষ্টিত।

 

১৯৮১ সালে সরকারী ভাবে এ জাদুঘরের জন্য পাঁচকাঠা জমি দেয়াহয়। ৮৪-৮৫ সালে নরওয়ের দাতা সংস্থা নোরীড ও ৮৫-৮৬ সালে শিক্ষাা মন্ত্রনালয়ের অর্থ সাহায্যে গড়ে তোলা হয় জাদুঘর ভবন। ১৯৯০ সালে ১৫ মার্চ সরকারের প্রত্নতত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তরের অধীনে রেজিষ্ট্রি হবার পূর্বে এটি বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ( স্থানীয় ব্যবসাথাপনায় ) চলত। (জনকন্ঠ) ১৪/১১/৯৯ সম্যাট আলমগীর ও বাদশা নাসির উদ্দিনের হাতে লেখা কোরআন শরীফ সহ পুরনো তুলট কাগজে হাতে লেখা তিন-চার বছরের ৮টি সম্পূর্ন ও আংশিক কোরআন শরীফ সহ ১৫টি হাদিস শরীফ সহ বহুসংখ্যক ধর্মগ্রন্থ আছে এই জাদুঘরে।

 

গাছের বাকলে লেখা ২টি সংস্কৃত পুঁথি, তিনশতাধিক বছরের পুরনো মনসা মঙ্গল ও সত্যপীরের পাঁচালিসহ আরও অনেক গ্রন্থের পান্ডুলিপি আছে। কষ্টিপাথরের সুর্যদেব বিষুত ও মার্তৃকা মূর্তিসহ নানা গবেষনা গ্রন্থ, ৯০টি দেশের মুদ্রা ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের গেটিস ব্যগ এ্যাড্রেস ( এগুলো বর্তমানে সংরক্ষনের নিমিত্তে আঞ্চলিক জাদুঘরে স্থানামত্মরিত)।

 

ডাকটিকিট,ঘট, বাংলা অক্ষরের বর্ণনাক্রম বিভিন্ন শাসন আমলের টেরাকোটা, শিলা ও আকরিক, বিভিন্ গাছের পাতা সহ নানা দুর্লভ বস্ত্ত, বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের এসব মহামূল্যবান বস্ত্ত যমেত্মর অভাবে এখন ধংসের মুখে ।

জনগনের দাবী তারা যে প্রত্যাশা নিয়ে এটি সরকারের নিকট হসত্মামত্মর করেছিল সেই আশ্বাস ও প্রত্যাশার বাসত্মবায়ন এটি হলেই এবং সবিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা হলে জাদুঘরটি ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে হয়ে উঠবে প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক গবেষনার এক অসন্য।